আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন:
প্রিয়তম নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম? নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন- যে আল্লাহর পথে জীবন ও সম্পদ দিয়ে জিহাদ করে।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বলেন, প্রিয়তম নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর পথে জিহাদের ময়দানে মুসলিম বাহিনীর হিফাজতের দায়িত্বে এক রাত চৌকিদারি করা ক্বদরের রাত্রে কাবা শরীফে হাজারে আসওয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে সারারাত ইবাদাত করার চেয়ে বহুগুণে উত্তম। (বুখারী-অধ্যায় আফাযালুন নাসি মুমিনুন মুজাহিদুন)
একজন লোক এসে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি আগে ইসলাম গ্রহণ করব নাকি জিহাদে অবতীর্ণ হবো? রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আগে ইসলাম কবুল কর, তারপর জিহাদ কর। লোকটি কালেমা তাইয়্যিবা পাঠ করল এবং কিছুক্ষণ পর লড়াইরত অবস্থায় শাহাদাত লাভে ধন্য হলো। আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ পবিত্র হাতে তাকে কবরে রাখেন। কিন্তু কবরে রেখেই তিনি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতি দ্রুত কবর থেকে বেরিয়ে আসেন। প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আচরণ দেখে সাহাবীগণ হতচকিত হয়ে গেলেন। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন- হে আল্লাহর রসূল! কবর আযাবের কোন আলামত দেখেই কি আপনি তড়িঘড়ি করে কবর থেকে বেরিয়ে এলেন? প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে আশ্বস্ত করে বললেন- না কোন আযাব নয়। বরং তার জন্য নির্ধারিত জান্নাতের হুরগণ পৌঁছে গিয়েছিল। এজন্যই পর্দা রক্ষার্থে আমি দ্রুত বের হয়ে এসেছি (সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি)। (আত-তারগীব ওয়াত্ তারহিব-কিতাবুল জিহাদ)
আবূ দ্দারদা (রাঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলে শুনেছি, শহীদ তার পরিবারবর্গের সত্তর জনের জন্য সুপারিশ করার অধিকার পাবে। (আবূ দাউদ, আত-তারগীব ওয়াত্ তারহিব ২য় খণ্ড ৪৩৯ পৃষ্ঠা)।
এক সাহাবী বদর যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। তার মা উম্মে হারিস প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছুটে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার ছেলে যদি জান্নাতবাসী না হয় তবে আমি বিলাপ করে কাঁদব। এ কথা শুনে প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাকে বলেনঃ ওয়া ইন্না ইবনাকা আসাবাল ফরদাউসাল আলা। কি বলছ তুমি! সে তো এখন জান্নাতুল ফিরদাউসে অবস্থান করছে। (বুখারী ১ম খণ্ড ৩৯৪ পৃষ্ঠা)। জিহাদে শহীদ হবার পর আল্লাহ মুহূর্ত বিলম্ব করেন না শহীদকে প্রতিশ্রুত পুরস্কার দেবার জন্য।
Leave a Reply