আজকাল যৌনাবেদনময়ী আর ধর্মাবেদনময়ীদেরই বাজার- ইলেকশন এলে কথাটা দিবালোকের মতো আরো পরিস্কার হয়ে উঠে। কে কত বড় আস্তিক, সেটা প্রমাণের জন্য উঠে-পড়ে লাগে সবাই।
একজন চরম ধর্মবিদ্বেষী হয়েও পাল্লার আপত্তি নাই যখন কেউ ধর্মকে ব্যক্তিগত ভাবে পালন করে। তবে পাবলিক প্লেসে নিয়ে এলেই ধর্মের চৌদ্দগুষ্টিরে উদ্ধার করা হবে, আল্লার কসম!
চরম ভাবে চেয়ে আসছি, ধর্ম আর রাষ্ট্র আলাদা আলাদা থাকবে। ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। রাষ্ট্রের আইন সবার জন্য সমান। আর ধর্ম থাকবে একান্তই ব্যক্তিগত গন্ডির মধ্যে। কেউ কারো ব্যাপারে নাক গলাবে না।
কিন্তু আমাদের মত একটা ধর্মান্ধ দেশে রাজনৈতিকবিদরা সত্যিকারের ধার্মিক হোক বা না হোক, ধর্মকে রাজনীতির একটা হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করবেই। পুরানোরা পচে গেছে- সেটা আগেই জানতাম। তাই তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করতাম না। কিন্তু নতুনেরা?
গনজারগণ মঞ্চ যেদিন থেকে নিজেদের আস্তিক প্রমাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, সেদিনই বুঝলাম গনজাগরণ আন্দোলনে দেশের সেই গতানুগতিক “রাজনীতি” ঢুকে গেছে। সবাই ব্যস্ত যার যার ভবিষ্যত রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে। আমরাও দেখতে চাই যখন ধর্ম থাকবে না তখন কিভাবে রাজনীতি করো তোমরা।
যারা চরম ভাবে ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম, তারাও হাত গুটিয়ে রেখেছিলাম দেশের সার্বিক মঙ্গলের আশায়। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। তোমরা যখন সেই গতানুগতিক পথে হাঁটছো, তখন আমরাও আমাদের পথে চললাম। আবার শুরু হলো নতুন উদ্যমে। আরো কঠিন, আরো ধারালো, আরো তীক্ষ্ণ!
আমাদের মুখের কথাতেই যখন হাতে চাপাতি নিয়ে কল্লা ফেলতে তেড়ে আসো, তখন বোঝা যায় কতখানি ভয়ে থাকো তোমরা। যখন থাবার কল্লা ফেলেও থামাতে পারো নাই, তখন হাজারো কল্লা ফেলেও আর থামাতে পারবা না। আরশ ধরে যখন একবার ঝাকাঝাকি শুরু হইছে, তখন আরশ থেকে ফেলে দিয়ে তার কবর রচিত হবেই! এ পরিনতি থেকে তোমরা কোনভাবেই তাকে রক্ষা করতে পারবা না।
আল্লাহ, রেডি আছো তো?
Leave a Reply