[ফেইসবুকে একটা মজাদার পেইজ খোলা হয়েছে “ধর্মীয় প্রশ্নের ব্যাঙগানিক উত্তর” নামে। কেউ একজন একটা মজাদার, বিটকেলে বা আপাত নিরীহ প্রশ্ন করছে, আর অমনি অন্যেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে সরবরাহ করছে সেটার বৈচিত্র্যময় ব্যাঙগানিক (ব্যঙ্গ + বৈজ্ঞানিক) উত্তর।
সেই পেইজ থেকে নির্বাচিত প্রশ্নোত্তরের ধারাবাহিক সংকলন প্রশ্নকারী ও উত্তরদাতাদের নামসহ ধর্মকারীতে প্রকাশ করা হবে নিয়মিত। বলে রাখা প্রয়োজন, এই নির্বাচনটি একান্তভাবেই ধর্মপচারকের পছন্দভিত্তিক। ফলে ভালো কোনও প্রশ্নোত্তর আমার চোখ এড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা তো আছেই, তবে সবচেয়ে বেশি আছে অন্যদের সঙ্গে মতভেদের সম্ভাবনা। নিজ গুণে (ভাগে, যোগে, বিয়োগে) মাফ কইরা দিয়েন।]
১৮১.
– উগ্র নাস্তিক মানে কী? (সেক্যুলার ফ্রাইডে)
– যে নাস্তিক ভগবানেশ্বরাল্লাহ এবং তাদের চ্যালা নবী/অবতার/দেব-দেবীদের সর্বদা চাপাতি লইয়া দোড়ের উপ্রে রাখে। (ফাহিম আল হামিম)
১৮২.
– সাহাবী কাকে বলে? মুমিন মানে কী? সাহাবী আর মুমিনের মধ্যে পার্থক্য কী? (তুমবাজ চাকমা)
– একজন ব্যক্তি সরাসরি ছাগল দেখছে এবং অন্য ব্যক্তি ছাগলের কথা শুনছে। (রুহুল আমিন)
১৮৩.
– কারা প্রকৃত মুসলমান – ১. আইসিস, ২. তালেবান, ৩. বোকো হারাম, ৪. আল কায়েদা? (মোঃ জামসেদ হোসেন)
– মডারেট বাংলাদেশী মুসলমানরা। বাকিরা কেউ সহিহ নয়। (দাঁড়িপাল্লা ধমাধম)
১৮৪.
– দাড়িতে নাকি ৭০ জন ফেরেস্তা ঝুইলা দোল দোল খেলে। দাড়ি কাইটা ফালাইলে ফেরেস্তারা কই যায়? (বাঙাল চাষা)
– পিউবিক হেয়ার অর্থাৎ শ্রোণীকেশে। (রহমান বিবি)
১৮৫.
– আল্লার আরশ কী দিয়া তৈরি? কাঠ, ইট, বালু, সিমেন্ট, রড, বাঁশ, প্লাস্টিক, তামা, পিতল, সোনা, রুপা নাকি অন্য কিছু? (ফাহিম আল হামিম)
– চাপা দিয়া। (দাঁড়িপাল্লা ধমাধম)
১৮৬.
– আচ্ছা, বৌদ্ধধর্মে তো “জীবহত্যা মহাপাপ” বলে উল্লেখিত আছে… প্রশ্ন হইলো, কোনো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর চেতনাদণ্ডে যদি একখান মশা বসে… সেক্ষেত্রে তিনি কী করিবেন? (আজাদ ফেরদৌস)
– উহা দ্বারা ভালোবাসিবেন। (খাদিজা বেগম)
১৮৭.
– আল্লাহ কি স্বাধীন? (পুতুল হক)
– অসম্ভব, তিনি মুমিনদের অধীন। মুমিনরা না থাকলে তার তো অক্সিজেন সাপ্লাই-ই বন্ধ হইয়া যাইব। (রুদ্র রাসেল)
১৮৮.
– আচ্ছা বলুন তো, খাস মুমিন বান্দারা বাংলিশে লিখে কেন? (শহীদুজ্জামান সরকার)
– আরবীতে বাংলা লিখতে পারে না, তাই। (অনুসন্ধানী আবাহন)
১৮৯.
– মহোন্মাদের স্রষ্টা আল্লা, নাকি আল্লার স্রষ্টা মহোন্মাদ? (সুরমা মেহজাবিন)
– য়্যাল্লার স্রষ্টা মহাম্মদ না, মহাম্মদের স্বপ্নদোষ য়্যাল্লা। (মাসুম রহমান)
১৯০.
– ভূমিকম্প শুরু হলে হিন্দুরা উলু দিয়া শঙ্খ-ঘন্টা-কাঁসা বাজায় ক্যান? (অরূপ রত্নাকর)
– যে কারণে বিয়ের সময় উলুধ্বনি দেয়। আসলে দুইটাই দুর্ঘটনা তো! (ভাবের মানুষ)
আগের পর্বগুলো:
Leave a Reply