শান্তিতে থাকার মন্ত্র
লিখেছেন : কবিতা রায়
পান্ডবেরা হস্তিনাপুরের অধিকার ছেড়ে দিয়ে ইন্দ্রপ্রস্থে আলাদা রাজ্য করেছিল। দুর্যোধন সেদিকেও নজর দিল। সেটাও ছেড়ে দিয়ে বনবাসে গেল সেখানেও দুর্যোধনের লোক গেল। শান্তিতে থাকার জায়গা কোথাও নেই। পালটা মার না দেওয়া অবধি পান্ডবেরা শান্তিতে থাকতে পারেনি।
এটাই কৃষ্ণ গীতায় বোঝাতে চেয়েছেন। যারা একেবারে পৃথিবীটাই ছেড়ে যেতে চায় এবং ভবিষ্যতে আর কোনোদিন নতুন জন্ম নিয়েও ফিরতে চায় না তারা হয়ত সবকিছু ত্যাগ করে শান্তি পেতেও পারে। কিন্তু পৃথিবীতে টিকতে হলে এভাবে পালিয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই। শত্রুর মুখোমুখি হতেই হবে, যুদ্ধ করতেই হবে।
কৃষ্ণের ভক্তরা ভেবেছিল মোল্লাদের হাতে পাকিস্তান দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেলেই শান্তি। কিন্তু আদৌ তা হয়নি এবং কোনোদিন হবেও না। অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী হামলা সমানে চালু আছে, তিনবার যুদ্ধও হয়ে গেছে। যেকোনো ইসলামী স্কলারকে জিজ্ঞাসা করলেই জানতে পারবেন ভারতের বরবাদি তক জিহাদ চলবে।
অতএব হে অর্জুন, এদের সামনে কোনো যোগই কাজে লাগবার নয়। যুদ্ধ ছাড়া তোমার আর কোনো পথ নেই। অস্ত্র তুলে নাও এবং অশান্তির গোড়ায় আঘাত করো। তবেই শান্তিতে থাকার সুযোগ পাবে।
আরিয়ান
যখন ভারতে মুসলিম দের আগ্রাসন শুরু হয়, তখনও মনে হয় হিন্দুরা বুদ্ধদের চেয়েও বেশি শান্তিতে ছিল, তাই তারা ভারত দখল করেছিল।