নামকরণের গোপন ইতিহাস
লিখেছেন : মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ
কফি আনান ছিলেন লাইফ ইন্সুরেন্সের এজেন্ট। তো একদিন তিনি সাঈদী হুজুরের বাসায় গিয়ে বোঝাতে লাগলেন, “হুজুর, বেঁচে থেকে লাভ কি? মরে যান, আপনি মরলে আপনার ইন্সুরেন্সের ১০ লাখ টাকা আপনার স্ত্রী পেয়ে যাবে!” কথা শুনে সাঈদী হুজুরের গলা শুকিয়ে এলো। গলা ভেজানোর জন্য তিনি চা খেতে চাইলেন, এবং কফি আনানকে বললেন – চা খাবেন? ঢেলে দেবো? কফি আনান বললেন, না, আমি চা খাই না, আমার জন্য কফি আনান। সেই থেকে ভদ্রলোকের নাম হয়ে গেল কফি আনান।
জ্যাকি তখন মাদ্রাসার ছাত্র। অধিকাংশ সময়েই তাঁর পায়জামার চেইন খোলা থাকত। লোকে এটা নিয়ে তাকে খুব ক্ষেপাত। জ্যাকি বলতেন : “পায়জামার চ্যান কি আমি ইচ্ছা কইরা খোলা রাখছি?” মাদ্রাসার ছাত্র জ্যাকির মুখে ‘চ্যান’ শুনেই লোকেরা এরপর থেকে তাঁকে জ্যাকি চ্যান নামে ডাকা শুরু করেছিল।
আজকের রিভালদো একসময় মোটেই সুফি সাহেব ছিলেন না, ছিলেন পাড়ার মাস্তান। হাতে সবসময় একটা রিভলবার নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। লোকেরাও আদর করে তাঁকে রিভলবারের সাথে মিল রেখে রিভালদো নামে ডাকা শুরু করল। একপর্যায়ে তিনি চরমোনাই হুজুরের মুরিদ হলেন। আর মাস্তানি করবেন না বলে বায়াত হলেন, কিন্তু তাতে কি, লোকেরা তো আর রিভলবারের কথা ভুলে যায়নি!
বাইডেনের বাবা ছিলেন আজহারী হুজুরের মিশরীয় মুরিদ। তিনি তখন আজহারী হুজুরের কাছে একটু একটু ইংরেজি শেখা শুরু করেছেন। মিশরীয়রা ‘জ’ কে গ এবং ‘গ’ কে জ বলে উচ্চারণ করে। বাইডেন ছিলেন পড়াশোনায় বড্ড ফাঁকিবাজ। বাবা তাঁকে প্রতিদিন জোর করে স্কুলে পাঠাতেন। বাইডেন যখন স্কুলে যেতে চাইতেন না তখন তাঁর বাবা বলতেন – জো (go) বাইডেন, জো (go) টু স্কুল। এরপর থেকেই বেচারার নাম হয়ে গেল জো বাইডেন।
লিন্ডসে একসময় তাহেরী হুজুরের ভাঙ্গাড়ির দোকানে লোহা বিক্রি করতেন। একদিন তাহেরী হুজুর একা একা চা খাচ্ছিলেন, পাশের চেয়ারে বসে থাকা লিন্ডসেকে চা দিলেন না। হুজুরের কিপটামি দেখে লিন্ডসে রাগ করে বললেন “আপনি যদি আমাকে চা না খাওয়ান তাহলে আমি আপনার দোকানে আর লোহান বিক্রি করব না”। লোহাকে লোহান বলতে শুনেই তাহেরী হুজুর খিলখিল করে হেসে দিলেন আর বললেন, “আজ থেকে আপনার নাম লিন্ডসে লোহান।”
ড্যানিয়েল ক্রেইগের আসল নাম ছিল দানিয়াল করিম। তিনি ছিলেন মুফতি ইব্রাহিমের ছাত্র। মুফতি ইব্রাহিম যখন বিজ্ঞানী হতে শুরু করলেন তখন ঘনঘন ইংরেজি বলা, ছাত্রদের নাম ইংরেজিতে রাখা এমন উদ্ভট কান্ড করতে শুরু করলেন। সে সময়েই ইব্রাহিম হুজুর তাঁর প্রিয় ছাত্র দানিয়াল করিমের নাম রাখলেন ড্যানিয়েল ক্রেইগ।
তারেক মনোয়ার যখন অক্সফোর্ডের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন সে সময়ে তাঁর কলিগ ছিলেন উসাইন বল্টু। তারেক মনোয়ার হুজুর একদিন তাহাজ্জুদ নামাজের পরে বল্টুকে বিছানায় আহবান করলেন। বল্টু বললেন, “আমি গে নই, আমি কিন্তু ভীষণভাবে বোল্ড হয়ে যাচ্ছি তারেক!”
তারেক মনোয়ার হুজুর বললেন, “হুসাইন তুমি বোল্ট হলে আমার কি? এদিকে আমার যে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে!” শোনা যায়, এরপর থেকেই লোকেরা উসাইন বল্টুকে উসাইন বোল্ট নামে ডাকা শুরু করেছিল।

Leave a Reply