লিখেছেনঃ আরিফুর রহমান
এটা খুবই লজ্জার বিষয় আমাদের মডারেট মুসলিমদের জন্য। ধর্মের ব্যপারে কথা উঠলে তারা গিয়ে ছাগুদের সঙ্গে গা ঘষাঘসি করে ওম নেন, এবং মোহাম্মদের চরিত্র বাঁচানোর যুদ্ধে বাংলাদেশ, সংবিধান, স্বাধীনতা, রাজাকার সব ভুলে যান।
তারা এই একটি ক্ষেত্রে জামাতশিবিরের ছাগুদের সহায়তা নিতে কুণ্ঠিত হন না, আমরা বেদনার্ত দৃষ্টিতে অবলোকন করি, দিনের বেলা যাদের বিচার চাই বলে গনজাগরনে যোগ দেয় মডারেট, রাতের বেলা তাহাজ্জুদের নামাজ তাদের পেছনেই আদায় করে।
এই যে অদ্ভুত দ্বৈরথ, বাংলাদেশকে ফেঁড়ে ফেলেছে আজ চার দশক ধরে, আরো ফেলবে। আমাদের মডারেটগন দেশটাকে সউদি উপনিবেশ বানাতে সেই জামাতেরই সহায়তা করে চলেছেন অবিরত, পেয়ারা মোহাম্মদের চরিত্রের ধুয়ো তুলে।
জামাতও চিনে ফেলেছে তাদের পোষক, বাংলাদেশের মডারেট মুসলিমদের। তারা ভালো করে জেনে গেছে, যতো যাই হৌক, বিচারের কাঠগড়ায় তাদের উঠতে হবে না, কারন ধর্ম গিয়েছে শুনলে বাংলাদেশের মডারেট মুসলমান কান্ডজ্ঞাণহীন হয়ে জামাতের সম্মোহনে ঢুকে পড়ে।
শুয়রের তিন নম্বর বাচ্চা মাহচুদুরকে কেন তাহলে চৌদ্দশিকে ঢোকানো হলো? সে জামাতের এজেন্সি নিয়ে মডারেটদেরই তো ধর্ম বাঁচাচ্ছে। তাহলে কেন আমরা তার উপরে এতো ক্ষ্যাপা হবো?
এই যে নৈতিক পিচ্ছিলতায় হড়কে গিয়েছি আমরা, আমাদের দিয়ে কোনদিনও জঙ্গী ও মৌলবাদ মুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা সম্ভব নয়। কোনদিনও না। যতোদিন এই মডারেট নামের ক্রমাগত আত্মহত্যাপ্রবণতাটি চালু থাকবে, রাজাকারেরা আমাদের নাকের ডগা দিয়েই বুড়ো হবে, এবং কবরে ইন করবে, বিচার করা আমাদের আর হয়ে উঠবে না।
যদি এমন হতো, ধর্মে গেলো গেলো রব উঠলেও বাঙালী শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে বলছে, তুই কেগু বে?
তখনি আমাদের আশা জাগতো বাংলাদেশ নিয়ে। নয়তো এই বাংলাদেশ আদতে পুর্বপাকিস্তানই রয়ে গেছে, ভিন্ন নামে।
Leave a Reply