• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

ঈমানদীপ্ত কাহিনী ২ (কুরবানি)

You are here: Home / ধর্মকারী / ঈমানদীপ্ত কাহিনী ২ (কুরবানি)
September 22, 2015
(এটা এক স্কুলবালকের রচনা)
লিখেছেন জল্লাদ মিয়া
আমারে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, আমার মতে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গল্পকার কে? আমি কোন দ্বিধা ছাড়াই উত্তর করিব মুহাম্মদের নাম। প্রয়োজনের সময় মুহাম্মদ এমন প্রাসঙ্গিক গল্প রচনা করিতে পারিতেন যে, এই যুগে বাঁচিয়া থাকিলে তিনি নির্ঘাত সাহিত্যে নোবেল জিতিয়া বসিতেন।
যা হোক, আমার আজকের বয়ানের বিষয়বস্তু হইল কুরবানির ইতিহাস। তো শুরু করা যাক।
একদা হযরত মুহাম্মদ [খাঃপুঃ {খানকির পুলা (আধুনিক দরুদ শরীফ)}] ইসলাম প্রচার করিতে গেলেন তার চাচা আবু তালিবের কাছে। তিনি আবু তালিবকে বিভিন্নভাবে মুসলিমদের দলে আসার জইন্য অনুরোধ করিলেন। এমনকি ৭২টি হুরের প্রলোভন দেখাইতেও ভুলিলেন না। কিন্তু আবু তালিবের মাথায় অল্পবিস্তর মগজ থাকায় মুহাম্মদের কথায় রাজি হইলেন না। তিনি সরাসরি নাচক করিয়া দিলেন।
এতে মুহাম্মদ ভীষণ চটিয়া গেলেন। তিনি তার চাচা আবু তালিবকে বলিলেন, “আবে শালা! কালমা পড়!”
স্বীয় ভাতিজার কাছ হতে খারাপ আচরণ পাইয়া আবু তালিব খুবই মর্মাহত হইলেন। মুহাম্মদকে বলিলেন, “গুরুজনকে সম্মান করিতে শিখ।”
কথাটা মুহাম্মদ ভালোভাবে বুঝিতে পারিলেন না। “গুরুজন”কে মনে করিলেন “গরুজন” অর্থাত্‍ “গরু”; কথাটা মুহাম্মদের মনে ঘুরপাক খাইতেছে। তিনি ভাবিতে লাগিলেন, এই মরুভুমির দেশে গরু পামু কই? এখানে তো সবাই ভেড়া-দুম্বা পালে, গরু পাওয়া তো দুষ্কর।
এর কয়েকদিন পরে মুহাম্মদ একা একা রাস্তা দিয়া হাঁটিতেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে তিনি মাঠে একটা গরু দেখিতে পাইলেন। ভাবিলেন, এই তো সুযোগ! গরুজনকে সম্মান করিয়া আহি। এই বলিয়া গরুর লক্ষ্যে হাঁটা ধরিলেন।
মুহাম্মদ গরুর কাছে গিয়া ভাবিতে লাগিলেন, কীভাবে সম্মান করিবেন! ভাবিলেন, পায়ে ধরিয়া সালাম করিলে কেমুন হয়?!
গরুর পায়ে ধরিয়া সালাম করিবার চেষ্টা করিলেন। কিন্তু পরক্ষণেই মুখে এবং পাছায় তীব্র বেদনা অনুভব করিলেন। গরুটা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবকে লাথি মারিয়া বসিয়াছে!
মুহাম্মদের একটা দাঁত নড়িতেছে (যে দাঁতটা পরে উহুদের যুদ্ধে পড়িয়া গেছিল!)! মুহাম্মদ গরুটাকে গালি গালাজ করিতে লাগিলেন এবং গরুটার দ্বাদশ ঘটিকা বাজানোর উপায় খুঁজিতে লাগিলেন।
অবশেষে প্রতিশোধ-খ্যাপা মুহাম্মদ ঘোষণা করিয়া দিলেন, যাহাদের ঘরে গরু আছে অথবা গরু সদৃশ প্রাণী যেমন ছাগল, ভেড়া এবং অন্যান্য কিছু আছে, তাদের কুরবানি করা ফরজ! তাহার কথা শুনিয়া এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করিল। কারণ এটা মানুষের স্বার্থ বিরোধী। কোন দুঃখে তাঁহারা এত্ত কষ্ট করিয়া পালন করা গরু কতল করিবেন?
মানুষের প্রতিবাদ বড় বিষম জিনিশ! মুহাম্মদ ভাবিতে লাগিলেন, কী করা যায়?

অবশেষে গিব্রাইল বুদ্ধি লইয়্যা আহিল। মুহাম্মদ ইসমাইল ইব্রাহীমের কাহিনী (এগুলো মুসলমানেরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে, অথচ এদের কোনো অস্তিত্বই কখনো ছিল না) রচনা করিলেন। মুসলমানরা আজও নবীজিকে অনুসরণ করিয়া গরুজনকে সম্মান করে! 
(৪.১১.১৪ তারিখে প্রকাশিত) 
Category: ধর্মকারীTag: রচনা
Previous Post:হা-হা-হাদিস – ১৪৮
Next Post:চিত্রপঞ্চক – ১৩০

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top