সব ধর্মই নারীদের সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে, সে তো আমরা জানিই। তবে ধর্মগুলোর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সম্মান তারা পায় তাদের ঋতুকালে। কয়েকটি নিদর্শন:
এই সময়টায় নারীরা অশুচি ও অপবিত্র (সুরা ২: ২২২-২২৩) – শুধু এ কথা বলেই বলেই ক্ষান্ত হয়নি ইছলাম, তাদেরকে নামাজ-রোজা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছওয়াব কামানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে বিশেষ সম্মানিতও করেছে।
হিন্দুধর্মমতে: “যেদিন প্রথম রজঃদর্শন হবে সেদিন থেকে তিন রাত্রি পর্যন্ত রমণী সবকিছু পরিত্যাগ করে ঘরের মধ্যে সর্বদা আবদ্ধ থাকবে। যাতে অন্য কেউ তাকে না দেখতে পায়। স্নান করবে না, অলংকার পরবে না। এক বস্ত্র পরিধান করবে। দীনাভাবে মুখ নিচু করে বসে থাকবে। কারো সাথে কোন কথা বলবে না। নিজের হাত, পা ও চোখ থাকবে স্থির। দিনের শেষে মাটির হাড়িতে তৈরি করা ভাত সে খাবে এবং ভূমিতে সাধারণভাবে শয্যা করে নিদ্রা যাবে।” এছাড়া মনু সংহিতায় আছে: “রজস্বলা নারীতে যে পুরুষ সঙ্গত হয় তার বুদ্ধি, তেজ, বল, আয়ু ও চক্ষু ক্ষয় পায়।” (মনু সংহিতা ৪:৪১)
এদিকে বাইবেলে বলছে: “যে স্ত্রী রজঃস্বলা হয় সে সাতদিন অশৌচ থাকবে, যে তাকে স্পর্শ করে সেও সন্ধ্যা পর্যন্ত অশুচি থাকবে এবং অশৌচ কালে যে পুরুষ তার সাথে শোয় ও তার রজঃ যদি পুরুষটির গায়ে লাগে, সে পুরুষও সাত দিন অশুচি থাকবে।” (লেবীয় পুস্তক: ১৫)
ঋতুকালে নারীদের অধিকার নেই বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়গুলোয় (মসজিদ হিসেবের বাইরে, যেহেতু এমন অবস্থায় মুছলিমাদের জন্য উপাসনাই নিষিদ্ধ) প্রবেশ করার। রীতিমতো সাইনবোর্ড লটকিয়ে এমন ঘোষণা দেয়ার গৌরবময় ধর্মীয় ঐতিহ্য পালিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে।
সর্বমোট ঊনিশটি ছবি দেখুন।
Leave a Reply