• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

শরাব-উন-ইছলাম

You are here: Home / ধর্মকারী / শরাব-উন-ইছলাম
November 12, 2015
লিখেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
নবী এবং সাহাবারা সবাই মদ খাইতেন, কিন্তু তারা মাতাল হইতেন না। এই জন্য তাদের জন্য মদ হালাল ছিল । কিন্তু সমস্যা বাধল, যখন সাধারণ মানুষ সকাল-বিকাল-রাত তিন বেলা মদ গেলা শুরু করল। আর বলতে লাগল “নবীও মদ খায়, আমরাও মদ খাই”, তাই আমরাও নবী। নবী পড়লেন মহাবিপদে। সবাই নবী হইলে সে কোথায় যাবে? এদিকে মদ না খেলে তার গুরুকিতাব কেমনে নাজিল হবে? সবাই মদ খেয়ে নবী হয়ে গেলেও তো সমস্যা।
 
অতঃপর তিনি চোখ বন্ধ করে গুরুকে স্মরণ করলেন। গুরুর কাছে ফরিয়াদ জানালেন, “হে গুরু , আমার জন্য বাদে সবার জন্য মদ হারাম করে দাও। আমার জন্য বাদে এই কারণে, মদ না খেলে যে আমি তোমার কিতাব শুনতে পাই না। জিবরাইলও আমার কাছে আসে না। সে না আসলে আমার ভালো লাগে না। আমার ভালো না লাগলে তোমারও লাগে না। কারন তুমি আমার গুরু সত্ত্বেও দোস্ত। আমি খুশি থাকলে তো তুমিও খুশি । আমি আর তুমি তো একজনই।” 
যা হবার, তা-ই হল। গুরু হাত উঁচু করে কবুল জানান দিলেন। ব্যস, সবার জন্য মদ হারাম হয়ে গেল। নবী কিন্তু ঠিকই লুকায়ে লুকায়ে মদ খাইতে থাকেন। শোনা যায়, মদ হারাম হবার পরেও নাকি কিছু উচ্চপদস্থ সাহাবাদের দিয়ে তিনি নিজ ডেরায় গোপনে মদ পান করে শরীয়তের আইন প্রণয়নে লিপ্ত হতেন। এ সবই শোনা কথা। 
এখন আমার কথা হল: আমিও মদ খাই, কিন্তু মাতাল হইনা । তাহলে আমিও কি …?
যাই হোক, নবী এবং তার সাহাবারা যে মদ খাইতেন, তার একটা দলিল দিয়ে যাই শানে নযুলসহ। মন দিয়ে দেখেন:
 
শারাব হারাম হবার পূর্বে একদিন আন্দুর রহমান বিন আউফ (রা:) এক নিমন্ত্রণে স্বীয় সাহাবাদের শরাব পান করিয়েছিলেন। তখন মাগরিবের সময় ছিল (সন্ধ্যায় মদ খাওয়ার মজাই কিন্তু আলাদা, তাই না ? তার উপর যদি হয় শীতের সন্ধা!)
সকলেই সালাতে দাঁড়ালেন। হযরত আলী (রাঃ) নবীর চাচাত ভাই ও জামাতা এবং চতুর্থ খলীফা। তিনি ইমামতি করছিলেন। তাঁহার পিতা আবু তালিব ছিলেন আব্দুল মুত্তালিব ইবন হাশিমের পুত্র। (তার মানে দাঁড়াচ্ছে – তিনি তার নিজের চাচাত ভাইয়ের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, সম্পর্কের হিসাব আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। আমি কিছু বলব না। একটা মজার কথা বলি, আমি আর আমার মামাত ভাই একবার একে অপরকে কথা দিয়েছিলাম আমরা একই মেয়েকে বিয়ে করব। নবী যদি তার চাচাত ভাইয়ের সাথে আমার মত কোনো কথা দিত, তাহলে চিন্তা করেন কোথাকার জল কোথায় গিয়ে গড়ায়। এমনিতে কিন্তু শরীয়ত মোতাবেক এক মেয়েকে দুই ভাই বিয়ে করতে পারে!
ইমামতির সময় নেশার ঘোরে তার মুখ হতে তাওহীদ (একত্ববাদ) একটি কালাম বের হয়। (মানুষ কিন্তু নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মিথ্যা বলে না, চিন্তা আপনাদের উপর …।)
এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত নাজিল হয়:

হে ইমানদারগণ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাজের কাছেও যেও না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা নিজেদের মুখের কথাগুলো উপলব্ধি করতে পার। (সুরা নিসা, আয়াত ৪৩)

এই আয়াত যদি আমার উপরর নাজিল হত, তাহলে আয়াতটা দাঁড়াত, হে ঈমানদারগণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের কাছেও যেও না, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজের কাছে গেলে তোমরা আমার আর দোস্তের ভেদ জেনে যাবে। আমি চাই না তোমরা কখনো সে ভেদ জানতে পার। তাই তোমরা মদ না গিলে নামাজ পড় এবং নবীকে শেষ নবী হিসেবে মাথায় তুলে রাখ। তার থেকে জ্ঞানী পৃথিবীতে কেউ কোনোদিন ছিল না থাকবেও না।
Category: ধর্মকারীTag: ইসলামের নবী, কোরানের বাণী, রচনা
Previous Post:ঈশ্বরভ্রম
Next Post:প্রচারে বিঘ্ন অথবা ধর্মপ্রচারক ও ধর্মপচারকেরা – ৪৩

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top