নাস্তিকরা ঈশ্বর নামক জিনিসের প্রমাণের অভাবে মেনে নেয় না। প্রমাণ পেলে আস্তিকদের চেয়ে বেশি মেনে নিত, যেমন মেনে নেয় বিজ্ঞানের প্রমাণিত বিষয়গুলোকে। তো নাস্তিকরা যে জিনিসে আস্থাই রাখে না, সে জিনিসকে অবমাননা করারও প্রশ্ন ওঠে না। ঈশ্বর অবমাননা একমাত্র আস্তিকদের পক্ষেই সম্ভব।
মুসলমানদের আল্যা-ইসলাম। ইসলাম মানেই কোরান-হাদিস-সীরাত। কোরান-হাদিস-সীরাত ঘেঁটে ইসলামিক স্কলাররা যে জীবনবিধান দাঁড় করিয়েছেন, যা মেনে মুসলমান এবং ইসলামিক রাষ্ট্র চলে সেটাই হলো আল্যার আইন, অর্থাত শরিয়া আইন।
একজন সাধারণ মুসলমানের চেয়ে একজন হুজুর বা মোল্লা এই শরিয়া আইন অনেক বেশি জানবে। এই ভিডিওটায় যে হুজুরকে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে তার অবস্থান অনেক উঁচুতে। লক্ষ লক্ষ মুসলমান এই হুজুরের ওয়াজ শোনেন, টিভিতে এর বক্তব্য শোনেন; ইসলাম বিষয়ে এর দিক-নির্দেশনা এবং কোরান-হাদিস-শরিয়া আইনের ব্যাখ্যা দেন। বাংলাদেশে আল্যার আইন কায়েম হলে এই টাইপের হুজুরেরাই দেশের উঁচু পদে বসে দেশ চালাবেন।
হুজুরের এই ওয়াজটি শুনুন–এক কথায়, গান-বাজনা, বাদ্যযন্ত্র–সব হারাম। আমরাও অনেকবার বলেছি, গান করা মানেই ইসলামের অবমাননা করা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো মানেই ইসলামের অবমাননা–যা এই দেশের হাজার হাজার মুসলমানরাই করে আসছে। আপনারা আমাদের কথাতে ইসলাম অবমাননা পেয়েছেন, আমাদের কথা বিশ্বাস না করে উলটা আমাদের গালি দিয়েছেন। এবার নিজ কানেই শুনুন।
আর একটা কথা–ইসলাম নিয়ে নাস্তিকদের সাথে তর্ক করতে পারেন, গালি দিতে পারেন, কিন্তু এইসব হুজুরদের সাথে পারবেন না। এদের হাতে ক্ষমতা গেলে এনারা যা বলবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে। নো চুদুর-বুদুর!
[আমরা বাংলাদেশে শরিয়া আইন দেখতে চাই। আপনারা চান তো? না চাইলে কেন চান না?]
https://www.facebook.com/banglawazbd/videos/973767629381699/
Leave a Reply