লিখেছেনঃ Sadia Shumi Uzza
#১
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান মূলত এই ৪ ধর্মের অনুসারীরা বাংলাদেশে বসবাস করেন। এরা সবাই মোটামুটি একই আর্থ- সামাজিক ও অর্থনেতিক গোষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত। সকলেই একই ধরনের নাগরিক সুবিধা ভোগ করেন। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে বৌদ্ধদের মধ্যে সততা সবচেয়ে বেশী আর মুসলমানদের মধ্যে সেটা সবচেয়ে কম। খ্রীষ্টানরা সবচেয়ে শিক্ষিত আর মুসলমানেরা সবচেয়ে অশিক্ষিত। পারিবারিক বন্ধন ও দাম্পত্য সুখ সবচেয়ে বেশী হিন্দুদের মধ্যে আর সবচেয়ে কম মুসলমানদের মধ্যে। শিক্ষা দীক্ষায় তুলনামুলকভাবে এগিয়ে আছে খ্রীষ্টান ও হিন্দুরা। অর্থনৈতিক সচ্ছলতায় খ্রীষ্টানরা এগিয়ে। মুসলমানেরা কয়েকটি দিক থেকে এগিয়ে আছে। আর তা হল উচ্চ জন্মহার, উগ্রতা এবং অপরের মতামতের প্রতি অশ্রদ্ধা।
#২
ঈশ্বরকে গালাগালি করলে তিনি চুপ করে থাকেন। কারো চ্যালেঞ্জও তিনি গ্রহন করতে পারেন না। এতটাই অথর্ব তিনি। বোকারা বিশ্বাস করে যে, মৃত্যুর পর আবার জীবন আছে এবং সেই জীবনে তিনি ইহকালের দোষীদের শাস্তি দেবেন। আসলে মৃত্যুই জীবনের সমাপ্তি। জড়বস্তুর বিবর্তন উপজাত জীব মৃত্যুর পর আবার জড়ে পুনঃরূপান্তরিত হয়। এসবই গতিশীল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অংশ। ঈশ্বর যদি কাউকে ভাবতেই হয় তবে সেটা এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকেই।
#৩
১. আবু মূসার বর্নিত,নবী (সঃ) বলেছেন: “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই ত্রুটিমুক্ত কিন্তু নারীদের মধ্যে কেউ-ই ত্রুটিমুক্ত নয়, কেবলইমরানের কন্যা মেরী এবং ফারাওয়ের স্ত্রী আয়েশা ছাড়া”।সহিহ্ মুসলিম, বই ৩১ হাদিস ৫৯৬৬
২. আয়শা থেকে বর্নিত, আমাকে বলা হয়েছিল কি কি জিনিস নামাজকে নষ্ট করে। সেগুলো হলো- কুকুর, গাধা ও নারী। সহী বুখারী, বই-৯, হাদিস-৪৯৩
৩. আবদুল্লা বিন ওমর বর্নিত,আল্লাহর নবী (সঃ) বলেছেন, দুর্ভাগ্য যদি কিছুতে থাকে, তবে তা হল বাড়ি, ঘোড়া আর নারী’’।সহিহ্ মুসলিম, বই ২৬, হাদিস ৫৫২৩ ও সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০
৪. উসামা বিন যায়েদ বর্নিত, নবী বলেছেন যে আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।সহিহ্ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩
৫. সমগ্র মানব জাতির জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছুই আমি রেখে যাচ্ছি না।দুনিয়া এবং নারী থেকে দূরেথাকবে। কারণ নারীর কারণেই ইসরাইলের পুত্ররা প্রথম পাপ করেছিল।ইসলামী বিশ্বকোষ (ডিকশনারি অব ইসলাম) থেকে পৃষ্ঠা ৬৭৮-৬৭৯
যদি নবীর বানী অস্বীকার করেন,তাহলে কুরানে যেতে হবে। ভেবে দেখুন অস্বীকার করবেন কি না???
#৪
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে অ্যারিস্টটল সরি হজরত অ্যারিস্টটল (সঃ) নবী টাইপের কিছু হবে। কুরানে সামান্য কিছু ভুল বিজ্ঞানের কারণে মুহাম্মদ যদি নবী হিসেবে গণ্য হতে পারেন তাহলে হজরত অ্যারিস্টটল (সঃ) হবেন না কেন। বিজ্ঞানের উপর লেখা নবী হজরত অ্যারিস্টটল (সঃ) এর রচনার সংখ্যা হাজারের উপর। মেটা ফিজিক্স আর বায়োলজি নিয়ে তার লেখা গুলো আজও নির্ভুল হিসেবে গণ্য হয়। অতএব আমরা এ সিদ্ধান্তে আসতে পারি আড়াই হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া হজরত অ্যারিস্টটল (সঃ) যদি নবী হন তাহলে জিউস, অ্যাপল, আফ্রোদিতি, এথেনা, ক্রোনাস হলেন সত্যিকারের গড ।
#৫
এক হুজুর ওয়াজে কৃষ্ণ আর রাধিকার গালগল্প বলে কৃষ্ণকে লুচ্চা বদমাইশ বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষায়িত করলেন। সাথে সাথে তৌহিদী জনতার মধ্যে মারহাবা মারহাবা রব উঠল। কৃষ্ণ লুচ্চা ছিলেন এই বিষয়ে হুজুরের সন্দেহ নাই। কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদও যে একজন নারীলোভী লুচ্চা ছিলেন এ বিষয়ে ঐ হুজুর রহস্যজনক ভাবে নীরব ছিলেন। হুজুর কি জানতেন না যে আমাদের মহানবীর তের জন স্ত্রী আর অসংখ্য যৌন দাসী ছিল। তিনি কি জানতেন না যে উনার প্রিয় নবীর হেরেমে তার বন্ধুর ছয় বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে তাঁর পালিত পুত্রের স্ত্রীও ছিলেন। হুজুরের আর দোষ কি? মহানবীকে পুঁজি করে ব্যবসা করে খান তিনি। তাই তার দুর্গন্ধ তার নাকে লাগে না।
Leave a Reply