• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

পাল্টা চুতরা

You are here: Home / চুতরাপাতা / পাল্টা চুতরা
February 9, 2012

এই পেজে এক মুমিন মুসলমান ভাই আমাকে সাডে তিন হাত মাটি ও মৃত্যু ভয় দেখালো, আমি আতংকিত হয়ে পড়লাম, এরপর আস্তে আস্তে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলাম এইভাবে:

ইসলামের রুপকথা অনুসারে, সব মানুষকে একসাথে মাটি দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল, এরপর একে একে এদেরকে পৃথীবিতে পাঠানো হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য এবং ঈমানি পরীক্ষার জন্য। কেয়ামতের পর সব মানুষের বিচার করে বেহেশত-দোজগে পাঠানো হবে।
এই কারনে ঈমানদার মুসলমানরা বেহেশত-দোজগ নিয়ে বড়ই চিন্তিত, কিন্তু তারা একটি জিনিষ বুঝতেই পাড়ছে না যে ইসলামের রুপকথার বিসমিল্লাতে গলদ আছে। গলদটি হল ইসলামিক খোদা সবাইকে যখন একসাথে মাটি দিয়ে তৈরী করেছেল, সেই সময়টি হচ্ছে একজন মানুষের জন্য স্মরনীয়দিন। কিন্তু কোন মানুষ কি সেই দিনটির কথা মনে করতে পারবে? আপনি যতই আমনার ম্যামরিতে গুগল সার্চ করেন না কেন, শিশুকালের আগের কোথা কিছুতেই মনে করতে পারবেন না। সুতরাং যেখানে স্রষ্টার স্রষ্টির কথাই মনে করতে পারছিনা, সেখানে মৃত্যুর পর মাথার ব্রেইন পচে গলে যাবে, তারপর কিভাবে আমরা হিসাব করবো বেহেশতে ইসলামিক খোদা কয়টা হুর পরী দিল? বেহেশত-দোজগ বা মৃত্যুর পরের কাহিনি ধর্মের ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়।

এইবার আসা যাক সৎকার প্রকৃয়া নিয়ে, আমি সাড়ে তিন হাত মাটি পাব কিনা তা নিয়ে ঈমানদার-মুমিন ভাইটি আমাকে উপহাস করল। কিন্তু মজার যে ব্যপারটি মুমিন ভাইটি জানে না তা হচ্ছে: ধরুন একজন মৃত ঈমানদার-মুমিন-আল-হাজী সাহেব কে সহি-শুদ্ধ ভাবে ইসলামিক তরিকায়া গোসল দিয়ে, বায়তুল মোকারমে ১ লক্ষ মুমিন মুসলমান দিয়ে জানাজা পড়নো হল । এরপর দাফনের সময় কবরে মৃত দেহের সাথে এক গজ কাবাশরীফের গিলাফ দিয়া দেয়া হল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামিক খোদা, সামান্য ব্যকটেরিয়া-পিপিলিকার হাত থেকে হাজী-সাহেবের মৃত-দেহকে রক্ষা করতে পারে কি না? মৃতদেহটিকে পচনের হাত থেকে ইসলামিক খোদা রক্ষা করতে পারবে কিনা? মোটেই না, বরং হাজী সাহবের মৃত দেহটি একজন নাস্তিকের মৃত দেহের মতই পচে গলে যাবে এবং ইসলামিক আল্লাহ এখানে নিরব।
সুতরাং ইসলামিক সৎকার প্রকৃয়া একটি ব্যর্থ প্রকৃয়া ছাড়ে কিছু নয়। এতে মুসলমানদের গর্ব করার কিছু নাই।

এখন আশা যাক, ইসলামকি মানুষকে স্বাভাবিক মৃত্যৃর গারান্টি দেয় কিনা? আমি এই প্রশ্নটি নিয়ে বেশি কিছু বলব না- শুধু বলব: ইসলামিক চার খলিফা (মুহাম্মদের পরেই যাদের অবস্থান) অপঘাতে মারা গিয়েছিলেন, পিছন থেকে তাদের ছুরি মার হয়েছিল। ইসলামিক খোদা এইখানে নিরব। সুতরাং এ নিয়ে আলোচনা অর্থহীন।

একজন মানুষের জীবন কিভাবে অবসান হবে যা যেমন একটি রান্ডম ঘটনা তেমনি তার মৃত দেহকে কিভাবে সৎকার করা হবে বা মৃত দেহকে দান করা হবে, সেটা তার একান্তই নিজেস্ব ব্যাপার । এখানে ধর্মের ভুমিকা একটি ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়।

ধার্মিকতা একটি মানসিক ব্যাধি। আসুন আমরা একে প্রতিরোধ করি
Wednesday, February 8, 2012 at 0158pm
সোর্স->

Category: চুতরাপাতাTag: ইসলাম, কেয়ামত, মুমিন
Previous Post:ধর্ম যেই উত্তরগুলো দিচ্ছে সেগুলো আদৌ কোন উত্তর নয়, এক ধরণের প্রবোধ — আসিফ মহিউদ্দীন
Next Post:উগ্র প্রতিক্রিয়াশীলতা সব খানেই কমবেশি আছে। আসিফ মহিউদ্দীনের এই লেখাটা কথাটাকে আরো পোক্ত করে

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top