যদি কোনো বিজ্ঞানীকে জিজ্ঞেস করেন, কীভাবে আমাদের বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হয়েছে, সে বলবে বিগ ব্যাং থিওরির কথা। প্রথমে এই বিশ্ব জগতের সমস্ত উপাদান ছিল একটা বিন্দুতে, তারপর সেখানে একটা বিস্ফোরণ হলো, সৃষ্টি হলো ছায়াপথ। সেটা আবারো খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে তৈরি হলো বিভিন্ন সৌরজগৎ। সেখানে তৈরি হলো বিভিন্ন গ্রহ, সূর্য আর আমরা যে-গ্রহে বাস করি, সেই পৃথিবী। আমি আমার বক্তৃতার শুরুতে একটি আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়েছিলাম, সুরা আল আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে, ” অবিশ্বাসীরা কি ভাবিয়া দেখে না , আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবী মিশিয়া ছিল ওতপ্রত ভাবে? অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম।”
পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে বিগ ব্যাং থিওরি বর্ণনা করা হয়েছে খুব সংক্ষেপে। চিন্তা করুন, আমরা যে-কথাটা জানলাম আজকে, পবিত্র কুরআন এ কথাটা বলেছে চোদ্দশো বছর আগে। এছাড়াও পবিত্র কুরআনে আছে, সুরা ফসিলতের ১১ নাম্বার আয়াতে উল্লেখ করা আছে যে, ” অতপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যাহা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ , অনন্তের দিকে উহাকে এবং পৃথিবীকে বললেন তোমরা আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এবং উভয়ে বলিল আমরা আসলাম একান্ত অনুগত হইয়া।” যে আরবি শব্দটি এখানে বলা হয়েছে, সেটা ‘দুখান’ – যার অর্থ ধোঁয়া। কোনো বিজ্ঞানীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলবেন, এই বিশ্বজগৎ তৈরির আগে মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান সেগুলো ছিল বায়বীয় অবস্থায়। আর এই আরবি শব্দ দুখান যার অর্থ ধোঁয়া, এটাকে আরও সঠিক ভাবে বললে বলা হবে বায়বীয়।
বর্তমানের খুব বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংস-এর মতে, তিনি বলেছেন, “মহাশূন্যের যে বিভিন্ন পদার্থের উপাদান আবিষ্কার করা গেছে , সেটাই হলো গত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার।” আর এগুলোর ওপর ভিত্তি করেই আমরা নিশ্চিতভাবে জানতে পেরেছি বিগ ব্যাং থিওরির সত্যতা আর এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টি হবার রহস্য।
Leave a Reply