রাষ্ট্রপতির বালছাল জোকস নিয়া ট্রল-সমালোচনা হওয়াতে অনেকের চেতনাদণ্ড খাড়াই গেছে। কিন্তু কথা হইল–রাষ্ট্রপতির যেমন বালছাল বলার অধিকার আছে, তেমনি অন্যদেরও অধিকার আছে তার বালছালরে বালছাল বলার। এই যুক্তিতেও যদি চেতনাদণ্ড না ন্যাতায় তাইলে বিডিনিউজ২৪-এর মতামত বিভাগে ‘গরীবের বউ নাকি বড়লোকের ভাউজ?’ শিরোনামে একটা লেখা বের হয়েছে। পইড়া দেখতে পারেন…
২) ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিপক্ষে থাকা অনেক নাস্তিক-মুক্তমনা রাজাকারদের ফাঁসির সময় বলছিল–আগে রাজাকারদের ফাঁসি হইয়া যাক, তারপর আবার ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বিপক্ষে লেখালেখি করা যাবে। তো রাজাকারদের ফাঁসির পরেও এদেরকে বিরানি-বিরানি করতে দেখা গেলেও ইদানিং কিছুটা চক্ষুলজ্জার খাতিরে বিরানিটা তলে তলে খাইলেও তেঁতুলের বিচি-চাটাটা ‘ওপেন সিক্রেট’।
৩) দীর্ঘকাল পরে রাজাকারদের বিচার, মুজিব হত্যার বিচার হয়েছে। এক যুগেরও বেশি সময় আগের গ্রেনেড হামলার বিচার হলো। কোনো একদিন কি নাস্তিক হত্যারও বিচার আশা করা যেতে পারে? নাহ্, কারো ফাঁসি চাইছি না। শুধু জানতে চাইছি, নাস্তিক হত্যার আসামি কে কে হবে? এখানে বলে রাখা ভালো–এই কেসে ডিজিএফআই পর্যন্ত জড়িত, সেখানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নাম না আসাটায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। তেমনি নাস্তিক হত্যায়ও কিন্তু ডিজিএফআই-এর নামে কানাঘুষা শোনা যায়… যদি কোনোদিন বিচার হয়, হাসিনার নাম না উঠলে অবাক হবেন তো?
৪) দেশের বাইরে থাকা রাজাকারদের ফাঁসির রায় হলে অনেকরেই বলতে দেখা গেছিল যে, ইউরোপ-আমেরিকায় পলাতক থাকা ফাঁসির আসামীদের দেশে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। যেমনটি ফিরিয়ে আনা যায় নাই শেখ মুজিবের খুনীদের। এদেরকে প্রথমেই ফাঁসির রায় না দিয়ে যাবজ্জীবন দিলে ফিরিয়ে আনা সহজ হত। পরে ফাঁসির জন্য আপীল করা যেত। সে কারণেই কি তারেক জিয়ার ফাঁসির রায় না হয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হলো? এই যাবজ্জীবনে লীগাররা কি আসলেই ‘স্যাড’, নাকি স্যাড হওয়ার ভান করছে? কিন্তু তারেকের যাবজ্জীবন সাজায় লাভ দেখছেন ব্যারিস্টার আমীর। তিনি বলছেন স্পষ্ট করে বলেছেন, তারেকের মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে দেশে ফেরত আনা হয়ত আটকে যেত, যে কারণে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের জন্য আপিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সো স্যাড না করো হে বাল! শুধু নাস্তিক হত্যার বিচারের কথাটা মাথায় থাকলেই হইল।
৫) আগে শোনা গেছিল–লীগ ক্ষমতায় না থাকলে রাজাকার সাইদি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এর সাথে আবার নতুন যোগ হলো– ক্ষমতার পট পরিবর্তন হলে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া পালিয়ে বেড়ানো এক আসামী দেশে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারে… অতএব, নৌকায় ভোট দিন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয় থাকলে নির্বাচন বাদ দিয়ে লীগ যাতে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারে, সেই ব্যবস্থা করুন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
Leave a Reply