লিখেছেন : কবিতা রায়
আমাদের গুরু কিম্বা অবতারেরা জনস্বার্থে প্রচুর উপদেশ বিনামূল্যে বিলিয়ে গেছেন। এই যেমন উদাহরণ হিসাবে আমিষ খাওয়া ভালো নয়, নিরামিষ খাওয়া ভালো।
রোগে ধরলে কিসে কী খাওয়া ভালো সে ব্যাপারে কিন্তু কবিগণ ওরফে অবতারগণ নীরব। এই যেমন ধরুণ রামকৃষ্ণ ঠাকুরের গলায় টিউমার হয়েছিল, তিনি ডাক্তার ডেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেতেন। রোগ হলে ওষুধ খাবেন এটা দোষের কিছু নেই। কিন্তু উনি যে ভগবানের সাথে সামনাসামনি বসে নিয়মিত গল্পগাছা করতেন সেই ভগবানই তো ওষুধের নামটা জানিয়ে দিলে ভাল হত। ডাক্তারকে ডেকে জানবার দরকার হল কেন? উনি তো চোখ বন্ধ করে বসেই সব ধর্মকে সমান বলে রায় দিয়ে ফেলেছিলেন। তখন তো বেদ, বাইবেল, ত্রিপিটক, কোরান বা ৪২০০ ধর্মের কোনো কেতাব দেখবার প্রয়োজন হয়নি। সামান্য একটা টিউমার কিসে সারবে জানার জন্য লোক ডাকতে হল?
যে ভগবান এসে বলতে পারেন আমিষ খেয়োনা নিরামিষ খাও। সেই ভগবান তো বলেই দিতে পারতেন যে নাক্সভমিকা খাও, পালসেটিলা খাও, ল্যাকেসিস খাও, হায়োসামাস খাও, ওভাটোস্টা খাও। কী এমন কঠিন কাজ ছিল এটা? আপনি এখুনি ফোনটা নিয়ে যেকোনো বন্ধুকে বলুন আপনার জ্বর হয়েছে, সে তিনটে ওষুধের নাম বলে দেবে।
নাকের ডগার দিকে তাকিয়ে ধ্যানে বসলে যে দিব্যজ্ঞান হয় সেটা দিয়ে জগতের কোনো সমস্যারই সমাধান হয়না।
Leave a Reply