বোরখাওয়ালী চলে যাবার পরে নতুন বিয়া করে বউ নিয়ে আগের এলাকায় থাকি নাই। চলে আসছিলাম নতুন এলাকায়। শুধু যে পুরানো এলাকার পুরানো স্মৃতি থেকে দূরে থাকতে, তা নয়–বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ কম, তবে সেই সাথে সুযোগ-সুবিধাও কম।
সবচেয়ে বড় অসুবিধা–কাজের দোকান থেকে বাসা অনেকটাই দূরে। সময়মতো কাজে যেতে হলে অনেকটা আগে ঘুম থেকে উঠতে হয়। আর সে কারণে বাধ্য হয়ে ঘুমের সময় কমাতে হয়েছে অনেকটা।
অনেকদিন পরে একটা অনুষ্ঠানে বোরখাওয়ালীর সাথে দেখা। হাই-হ্যালোর পরে একটু ঠেস মারল–চোখ দেবে গেছে…শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গেছে…নতুন বউ ঘুমাতে দেয় না?…
ঠেসটা গায়ে না মেখে সহজভাবে পুরো ঘটনা খুলে বলতেই সে সিরিয়াস হয়ে গেল। চোখে-মুখে সেই পুরানো আন্তরিকতা ফিরিয়ে এনে বলল ছুটির দিনগুলোতে একটু বেশি বেলা করে ঘুমিয়ে নিতে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে তাই চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কাজের দিনগুলোতে যে টাইমে ঘুম ভাঙে, ছুটির দিনগুলোতেও তাই। আর একবার ঘুম ভেঙে সহজে আর ঘুম আসে না। তাই কাল রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ভেবেছি টানা ১২ ঘণ্টা ঘুম দেব।
যে ভাবা সেই কাজ। খুব গাঢ় ঘুম হচ্ছিল। কিন্তু প্রবাদ আছে–আমি যাই বঙ্গে, বউ যায় সঙ্গে। বরাবর যে টাইমে ঘুম থেকে উঠতে হয়, সে টাইমটা পেরিয়ে যাচ্ছে দে বউ ডেকে তুলছে। ঘুম জড়িত কণ্ঠে বললাম–আজ তো কাজ নাই, আরেকটু ঘুমাই! কিন্তু সে কাজের জন্য না, ডাকছে কারণ তার হেডফোন খুঁজে পাচ্ছে না!
জ্ঞানী-গুণীরা বলেছেন, বউ হতে সাবধান, আর দুই নাম্বার বউ হতে আরো বেশী সাবধান। কিন্তু তিন নাম্বার বউ নিয়ে কেউ কিছু বলে নাই। ঘুম ভেঙে গেলেও জেদ করে চোখ বন্ধ করে ১২টা পর্যন্ত শুয়েইছিলাম। আর পুরো সময়টা ভেবেছি–দুই নাম্বার সবসময় আসলেই দুই নাম্বার হয়… এবার সময় হয়েছে…দুই নাম্বার বাদ দিয়ে তিন নাম্বার বউ খুঁজতে হবে…
Leave a Reply