সানিস্বতীর বুকে হাজারো পেন্নাম ঠুকে শুরু করছি আজকের হিন্দুত্ববাদের জয়গান ও ভারত-বন্দনা…
প্রথমেই দেখি ভারতের হিন্দু কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী বলেন (এইটা যখন নেতাজি কর্তৃক প্রস্তাবিত ভারতের জাতীয় সংগীত তখন ইংল্যাণ্ডের রাণীর সিংহাসন না ধরে আপাতত ‘ভারতমাতা’ ধইরা নিতে পারেন)–
“অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী
পূরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন-পাশে
প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।”
আপনি কি রবীন্দ্রনাথেরচে বেশি বুগেন?
২) নাস্তিকরা কয় মন্দির-মসজিদের জায়গায় জিম-হাসপাতাল-স্কুল হোক। মামাবাড়ির আবদার নাকি? আর আপনারা বাস্তববাদী হইয়া এতো অবাস্তব কথাবার্তা কেমনে বলেন! ছিঃ…
৩) রামমন্দিরের পক্ষে আমার পোস্ট পেয়ে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন আমি আসলে ছুপা হিন্দু নই, একেবারে খুল্লামখুল্লা ‘হিন্দু’–অবশ্য এও জানি–অনেকে ‘মাল্টিনিক’ মনে করেন… রামমন্দির হইছে–বিশ্বাস করেন–খুশি হইছি। বাবরিমসজিদও থাকবে–আরো খুশি হইছি (অবাক হইলেন?)। বিষয়টা আদালতে নিষ্পত্তি হইছে–খুব খুশি হইছি। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি হইতাম যদি ২৮-২৯ বছর আগে ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা যদি মসজিদ ভাঙাভাঙি না করে আদালতে গিয়ে বিষয়টা এখনকার মতো নিষ্পত্তি করত। তাহলে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর সেই তাণ্ডবটা হতো না, তসলিমা নাসরিনও ‘লজ্জা’ লিখতে পারতেন না, উনাকে নিয়ে এতো হাউকাউও হতো না। এখন কোনো ইস্যুতে তসলিমা নাসরিন কোনো পোস্ট দিলেই মনে হয় তার পক্ষে/বিপক্ষে কোনো পোস্ট না দিলে আর জাতে থাকা যায় না। আস্তিক-নাস্তিক সবার কাছেই তসলিমা নাসরিন এখন এতোটাই প্রাসঙ্গিক! ব্যাপারটা খুব মজার না?
৪) ভারতের রাক্ষস-অসুর অর্থাৎ স্থানীয়দের কাছে রাম বহিরাগত। স্থানীয় মানে ভারতবর্ষের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ–গায়ের বর্ণ কালো-বাদামী। উত্তরাঞ্চলেও স্থানীয়রা ছিল। কিন্তু তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ফর্সা রামেরা। রাম রহিম এবং ইংরেজ–এরা উত্তরে যেভাবে তাণ্ডব চালাতে পারছে, দক্ষিণে সেভাবে পারে নাই। সে কারণে দক্ষিণে এখনো স্থানীয়রা তাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি অনেকটাই ধরে রাখতে পারছে। আর উত্তরে হয়েছে সংস্কৃতির জগাখিচুরি।–কোথাও রাম, কোথাও গণপতি, কোথাও কৃষ্ণ… আবার পূর্বের বঙ্গে দেখেন সব আছে…
ঐতিহ্যগতভাবে বিজেপির জয়শ্রীরাম মূলত রহিমদের আল্লাহুআকবারের মতোই আরেকটা রাজনৈতিক স্লোগান। দক্ষিণে এর গ্রহণযোগ্যতা নেই বললেই চলে। এখানে উল্লেখ্য, বিজেপি দক্ষিণে ‘সিট’ পায় না। রামমন্দির স্থাপনের মাধমে সারা ভারতজুড়ে হিন্দুদের মধ্যে আবার হিন্দুত্বের ঢেউ লেগেছে–এমনটা ভাবা ভুল। যারা টুইটারে নজর রেখেছেন, তারা জানেন রাম-রাবণকে কেন্দ্র করে এক বিশাল ভার্চুয়াল যুদ্ধ বেঁধে গেছে। সেখানে রামের হাজারো ভুল-ত্রুটি তুলে ধরছে সবাই। কিন্তু রাবণের ওই সীতাহরণ বাদে আর কিছু নেই। যুদ্ধে তার কোনো শঠতা নেই। রাবণ সীতাকে তুলে নিলেও তার অনুমতি ছাড়া তাকে স্পর্শ করবে না–এই একটা কথাতেই প্রমাণ হয় রামায়ণের সত্যিকারের নায়ক, বীরপুরুষ আসলে কে–এমনটাই দাবী করছে দক্ষিণেরা। বাঙালিদের রামায়ণ শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্য লিখে। কিন্তু বাঙালিরা দুর্গাপূজা ছাড়া আর কিছু শিখছে বলে মনে হয় না। পৃথিবীর অন্যতম বড় সংকর জাতের শিক্ষাদীক্ষারও সেরকম জগাখিচুরি অবস্থা–কোনো বাপ-মা নাই!–অবশ্য গুণীজনেরা বলেন–বৈচিত্রেই সৌন্দর্য…
৫) রাম নিজে কি নিজেকে হিন্দু মনে করত? না। তখন এই শব্দটাই আসে নাই। তখনো সব বৈদিক-ব্রাহ্মণ-পৌরানিক হয়ে পৌত্তলিকতার ভারত। উত্তর-পশ্চিমের কাছে সিন্ধুপাড়ের বাসিন্দারা ‘হিন্দু’ হয়ে উঠতে শুরু করল পারসিক-রহিমদের কাছে। তার আগে থেকেই ভারতে নানা জাত-পাত ভাষা ধর্ম-বর্ণের মানুষের বাস–জৈন বৌদ্ধ শিখ বৈষ্ণব শৈব শাক্ত, এমনকি নাস্তিকতাও ভারতীয় দর্শনের একটি। কারো সাথে কারো মিল নেই। ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন শৈব আর শাক্তদের মধ্যেও খুনোখুনি সম্পর্ক ছিল। এরকম মতপার্থক্য এখনো আছে। বাইরের আক্রমণের কারণেই এরা চলে আসল একটা জাতীয়তাবাদের ছায়াতলে–নানা মুনির নানা মতের দেশে তার নাম হয়ে গেলো হিন্দুত্ব। পরে রহিমরা চলে আসলে, রহিমদের থেকে ভিন্ন বোঝাতে রামেদের হিন্দুত্ব একটা ধর্মীয় রূপ বা পরিচয় লাভ করে। তখন জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে সবাই হয়ে গেলো ভারতীয়।
দক্ষিণ ও উত্তর ভারতীয়রা এখন ধর্মীয় প্রশ্নে হিন্দু বা হিন্দুত্ব–যাই হোক না কেন–মূলত এদের হিন্দুত্বে পার্থক্য ছিল আছে থাকবে। যেখানে এই হিন্দুত্ব লঘু আকারে ছিল–যেমন বঙ্গে–সেখানে অন্য ধর্ম গেড়ে বসতে পারছে সহজে। বঙ্গের মানুষ ওসব ধর্মকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি। সহজ সরল বাউলিয়ানা জীবনযাপনই ছিল এদের ধর্ম। আর ছিল মাছ খাওয়া। গায়ে মাছের গন্ধ–এই একটা কারণেই ভারতের অন্যান্য হিন্দুরা বঙ্গের মানুষদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আসছে বেশি।
৬) সিপি গ্যাং-এর সাথে ক্যাচালের সময় খুব সম্ভবত রাসেল নামের কেউ একজন একটা প্রশ্ন করছিল–ধর্ম একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে–আমি এমনটা মনে কি-না। হ্যাঁ-না উত্তর চেয়েছিল। আমার উত্তর ছিল–না।
নাস্তিকতার কথা বলতাম বটে, তবে কাউরে নাস্তিক বানাতে হবে–এরকম মিশন অন্যদের আছে কি না জানি না, তবে আমার ছিল না, এখনো নাই।
তাহলে নাস্তিকরা ধর্ম নিয়ে এতো ক্যাচাল করে কেন, কী চায় তারা?–আস্তিকরা এরকম প্রশ্ন ছুড়ে দিত।
তখন ক্যাচালের সময় কী উত্তর দিতাম, এখন হয়তো গুছিয়ে বলতে পারব না–একেকজনরে একেকভাবে উত্তর দিতাম। ঘুরিয়েফিরিয়ে যা বলতে চাইতাম তা হয়তো এরকম–ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই ধর্মরে আস্তিকরা যদি নিজের ব্যক্তিগত গন্ডির মধ্যে রাখতে পারে, তাহলে নাস্তিকরাও কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে খোঁচাতে যাবে না, কিন্তু ধর্মরে পাবলিক প্লেসে নিয়ে আসলেই সমস্যা হবে।
আস্তিকরা ধর্মকে নিয়ে আসত, আর নাস্তিকরাও দেবদেবী আল্লা-নবীকে নিয়ে নানা ধরনের কথা বলা শুরু করত। এভাবেই দিনের পর দিন ক্যাচাল চলে আসছে। আস্তিকদেরও পালটা প্রশ্ন করছি–কোনো আস্তিক যদি ব্যক্তিগত গন্ডির মধ্যে নামাজ পূজা করে, তাহলে কি কোনো নাস্তিক তারে গিয়ে বাধা দেয়? বা নামাজ পূজা নিয়ে কোনো মন্তব্য করে?
৭) মাঝখানে বেশ কিছুদিন সাম্যবাদ-নারীবাদ নিয়ে পড়ছিলাম। অনেক নাস্তিক বলতে শুরু করল–ওগুলা ধর্মের মতো, ইসলামের মতো, মৌলবাদ টাইপের মতবাদ, ইউটোপিয় চিন্তাভাবনা, বাস্তবসম্মত নয়, বৈজ্ঞানিক নয়…
তাহলে পরিবার সমাজ রাষ্ট্র পৃথিবী নিয়ে নাস্তিকদের চাওয়াটা কী? নাস্তিক হিসাবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার চাওয়া–আস্তিকরা ব্যক্তিগত ভাবে ধর্ম পালন করুক, রাষ্ট্র কারো ধর্ম পালনে বাধা না দিক, আবার সহায়তাও না করুক, রাষ্ট্র সবার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও সুযোগ এবং নিরাপত্তা দিক… ধর্ম খুব ভালো জিনিস, ধর্ম সবাইকে সৎ পথে চলতে বলে, অসৎ কাজ করতে না করে–তো আস্তিকরা এরকম ধর্ম মেনে চলুক, অন্য কারো ক্ষতি না করুক… সবাই সুখে শান্তিতে মিলেমিশে থাকুক… (ইয়ে মানে এই চাওয়াটাও বাস্তবসম্মত বৈজ্ঞান না হয়ে যদি ইউটোপিয় চিন্তাভাবনা হয়ে যায়–তাহলে আগেভাগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি…)
৮) শেষে ওই একই প্রশ্ন অন্য নাস্তিকদেরও করতে ইচ্ছা করে–ধর্ম ধার্মিক ধর্মগ্রন্থ ধর্মালয় ইত্যাদি নিয়ে আপনাদের সমস্যাটা আসলে কী? আপনারা আসলে কী চান? (আশা করি দয়া করে ইউটোপিয় চিন্তাভাবনা এড়িয়ে বৈজ্ঞানিক ও বাস্তবসম্মত উত্তর দেবেন।)
[ফেসবুক পোস্ট থেকে]
===========
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পরে আনন্দবাজারে একটা লেখা পাই– সেটার আউটলাইন–
কাল রাতে (৬ অগস্ট, ২০২০, ২০:২৭:৫৩) ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য় ‘রামমন্দির তৈরি করতে গিয়ে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন কি স্বয়ং রামচন্দ্র?’ শিরোনামে রাম-হিন্দু-হিন্দুত্ব নিয়ে একটি ‘সম্পাদকীয়’ লিখেছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।কাল ‘হিন্দুত্ব’ নিয়ে কিছু কথা বলছিলাম–কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য সংযোজন করে বিষয়টাকে আরো স্পষ্ট করে বলেছেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী। এখানে আউটলাইনটা রেখে দিচ্ছি–
- রামচন্দ্র কোনও দিনই ‘হিন্দু’ ছিলেন না। তিনি অবশ্য ভারতীয় ছিলেন।
- ‘হিন্দু’ শব্দটি বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারত এমনকী কোনও অর্বাচীন পুরাণেও পাওয়া যাবে না।
- প্রধানত বৈদেশিক জনগোষ্ঠী, যারা এই ভারতবর্ষের বুকে শাসন করে গেছে, তারা নিজেদের এবং আরও অন্যদের পৃথক করার জন্যই এদেশীয় মানুষদের ‘হিন্দু’ বলে সংজ্ঞায়িত করেছে।
- ‘হিন্দু’ শব্দটির মাধ্যমে পারস্য সম্রাট প্রথম দারায়ুস সিন্ধু নদীর এপারে-ওপারে থাকা সমস্ত ভৌগোলিক অঞ্চলটিকে পারসিক উচ্চারণে নামকরণ করার চেষ্টা করেছিলেন।
- ‘হিন্দু’ নামের সমস্যা সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় ১২০০ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে, যখন ৩০০ বছর ধরে ভারতের প্রাদেশিক রাজ্যগুলির মুসলমানদের রাজনীতির দ্বন্দ্ব চলে এবং সেই দ্বন্দ্বে মুসলমান রাজশক্তি ভারতীয়দের উপর সেই দারায়ুসের শব্দটাই কিন্তু চাপিয়ে দেয় এবং বলে— এরা হিন্দু।
- সম্ভবত ব্রিটিশ আমলে ১৮২০ সাল নাগাদ ব্রিটিশরা ভারতীয়দের ‘হিন্দু’ নামে চিহ্নিত করতে থাকে মুসলমানদের বিপ্রতীপে এবং তা নিতান্তই প্রশাসনিক এবং ব্যবহারিক প্রয়োজনে।
- ‘হিন্দু’ কথাটা বৈদেশিক ব্রিটিশদের মৌখিক প্রচারের মধ্যে চলে এসেছিল বলেই রামমোহন রায়ের মতো প্রগতিশীল বিদ্বানও ‘হিন্দু’ নামটি ব্যবহার করেছেন ১৮১৫ এবং ১৮১৭ সালে।
- রামমোহন রায়ের ‘হিন্দু’ একটা জাতিবোধক শব্দ হলেও কোনও ভাবে তা জাতীয়তাবাদী হিন্দুত্বের অর্থ পরিগ্রহ করে না, ঠিক যেমন তা করে না বিবেকানন্দের ব্যবহৃত ‘হিন্দু’-শব্দেও।
- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য পর্যায় থেকে যাঁরা হিন্দুত্ববাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের অভিসন্ধি মিশিয়ে কাজ করছিলেন, তাঁরা যতখানি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি লড়াই করেছেন অবচেতনে থাকা মুসলমান শাসন এবং তখনকার ভারতবর্ষে মুসলমানদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে।
কার যেন একটা লাইন পড়েছিলাম–তুমি মুসলমান বলেই আমি হিন্দু হলাম। অর্থাৎ, ভারতীয়রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পরে যদি নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় মুসলমানিত্বকে বড় করে না দেখত তাহলে হিন্দু-হিন্দুত্ব–এসব বিষয়গুলোও আসত না। বরং আমরা পরিচিত হতাম নিজস্ব সংস্কৃতিতে। এ প্রসঙ্গে নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বলেন, “ভারতবর্ষের প্রাদেশিক রাজারা— তাঁরা একত্বের সংস্কৃতিতে ভারতীয় হলেও নিজেদের কিন্তু প্রাদেশিক নামেই চিহ্নিত করতেন গর্বভরে। আমি রাজপুত, আমি গুর্জর, আমি দ্রাবিড়, এই ভাবে মাগধ, বঙ্গ, মহারাষ্ট্র— এখনও চলে। মুসলমানরা এই সমস্ত প্রাদেশিকদের এক করেছেন হিন্দুর নামে…”
সম্পাদকীয়টায় রাম সম্পর্কেও কিছু তথ্য যোগ করা হয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের বোঝাতে। কিছু আজাইরা ক্যাচাল এড়াতে আস্তিক-নাস্তিক সবারই পুরো লেখাটা অবশ্য পাঠ্য।
আর বর্তমানে একটা বিষয় ভালো লাগছে না–রামায়ণ মহাকাব্যের কিছু চরিত্রকে হাস্যকর ভাবে অনেকে একেবারে জলজ্যান্ত রক্তমাংসের মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করতে শুরু করছেন…
Leave a Reply