রবার্ট ব্রাউনিং-এর ‘দ্য প্যাট্রিয়ট’ কবিতাটির কথা প্রথম শুনি বিশুর কাছে। ওদের ক্লাসে নাকি পড়ানো হত। বেশ কিছুদিন আগে কী একটা প্রসঙ্গে ওটা আবার খুঁজছিলাম–আসলে ইংলিশ বুঝি না, তাই বাংলা অনুবাদ খুঁজছিলাম। পেয়েও ছিলাম, অনুবাদটি পোস্টও দিয়েছিলাম। তখন কেউ একজন আরো একটি অনুবাদের লিঙ্ক দিয়ে বলেছিলেন যে, ওটা নাকি আরো ভালো অনুবাদ।–এইটুকু মনে আছে।
আজ আবার অনুবাদ দুইটি খুঁজছিলাম। পেলাম না। ব্যাপার না–পাঠ্য ছিল বলে হয়তো অনেকেরই পড়া আছে। আর যাদের আগ্রহ আছে তারা এমনিতে গুগল করে ইংরেজি–এমনকি ভালো সার্চ করতে পারলে বাংলা অনুবাদটিও পেয়ে যেতে পারেন।
তো ওটা খুঁজতে খুঁজতে ফেসবুকে এমন কিছু পোস্ট চোখে পড়ে গেছে যে, আমি ওটা কেন খুঁজছিলাম, খুঁজে পেলে কী ধরনের পোস্ট দেয়ার কথা ভাবছিলাম–তা ভুলে গেছি।
ভুলে যখন গেছি, তখন হাতের কাছে যা আছে, সেগুলো নিয়ে একটু কথা বলি– এই পোস্টটার কথাই ধরি–
//===========
★ ★ গন জাগরন মঞ্চের তিন সেলিব্রেটি ★ ★
সাঈদী সাহেবের ফাঁসীর দাবীতে সোচ্চার ছিলেন –
ইমরান সরকার–
আমেরিকায় পালিয়ে গিয়ে –জুতা পিটা খেল।
শহিদুল ইসলাম-
রাষ্ট্রোদ্রৌহী মামলায় রিমান্ডে পিঠের চামড়া তোলা হচ্ছে।
অভিনেত্রী নওসাবা–
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রিমান্ডের পর রিমান্ড
গলায় কামড়ের চিহ্ন –পুলিশ হেফাজতে ধর্ষিতা।
যার যার যর্থাথ পাওনা
আংশিক ইহকালেই পরিশোধ করা হল।
============//
পোস্টটা একজন সাইদী-সমর্থকের। এই তিনজন হেনস্থার শিকার হচ্ছে বলে তারা যে খুশি, সেটাই পোস্ট এবং কমেন্ট সেকশনে উপড়ে পড়ছে।
ওহ এবার মনে পড়ছে–আমি ওই খুশিটুকু বাদে ওই ‘দ্য প্যাট্রিয়ট’ কবিতায় যেরকম বলা হয়েছে, তার সাথে এই তিনজনের এই তিনটি পরিস্থিতির কোনো মিল আছে কি না, সেটাই ভাবছিলাম।
কিছু পাকিপন্থী আস্তিক বাদে আর সব আস্তিক, নাস্তিক, প্রগতিশীল–মোটামুটি সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মন্দের ভালো এই সরকারকেই সমর্থন দেয়। অথচ এই সরকারের হাতে এরাই বেশি নিগৃহের শিকার হচ্ছে! স্বার্থে বিন্দুমাত্র আঘাত লাগলে অকৃতজ্ঞরা কতখানি ভয়াবহ হতে পারে, তা কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে দিচ্ছে!
পাল্লাপেজে গত মাসের একটা পোস্ট ছিল–কারো উপকার করে বিনিময়ে যতক্ষণ না বাঁশ খাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই উপকার সিদ্ধ হয় না।
ফেসবুকে ইদানিং আরেকটা পোস্ট খুব ঘুরছে–উপকার করলে পিটের ছাল থাকে না, যেমন–অর্জুন গাছ।
Leave a Reply