• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

পাল্লাহু । pAllahu

দাঁড়িপাল্লা ধমাধম-এর বাংলা ব্লগ

  • পাল্লাব্লগ
  • চুতরাপাতা
  • মহাউন্মাদ
  • ধর্মকারী
  • রেফারেন্স
  • ট্যাগস

মাদ্রাসা – শিশুদের মানসিক মৃত্যুস্থল

You are here: Home / ধর্মকারী / মাদ্রাসা – শিশুদের মানসিক মৃত্যুস্থল
June 22, 2016
লিখেছেন শুভ্র আহমেদ
মাদ্রাসা শিক্ষা সংস্কার করার বিলাসী স্বপ্ন দেখার চেয়ে এটা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া উচিত। কাজটা কঠিন হবে। কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষের মানসিক মৃত্যু ঠেকানোর পথ চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করতে এটা ছাড়া উপায় নেই।
মাদ্রাসা আছে দুই প্রকার। একটা হল কওমি। অন্যটা আলিয়া বা সরকারি মাদ্রাসা।
এই সরকারি মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাস প্রায় স্কুলের মত। পড়ার মানও আধুনিক। তবে যে ভয়াল জিনিসটা এই মাদ্রাসাগুলায় ছড়িয়ে আছে, তা হল শিবির। অনেক সচেতনও মানুষও এই ব্যাপারটায় অসচেতন। তাঁরা ভাবেন যে, এই মাদ্রাসা যেহেতু সরকারের অধীন, তাই হয়ত নিরাপদ। এই ধারণাটা খুব ভুল। জামাত-শিবির এতোটা নির্বোধ নয় যে, কওমির মত একটা অসার ও নিষ্প্রয়োজন শিক্ষা-সিলেবাসের অধীনে পড়ালেখা করা লোকদের দলে ভেড়াবে। আলিয়া থেকে শিবির সরানো ভার্সিটি থেকে ছাত্র রাজনীতি সরানোর মতই কঠিন। কিংবা তারচেয়ে বেশি কঠিন। ভার্সিটিগুলোয় বহুবাদী রাজনীতি করার সুযোগ আছে, যেটা এইসব মাদ্রাসায় নেই।
অন্যদিকে কওমিগুলোর অবস্থাও খারাপ। এগুলোতে জামাতি রাজনীতির চর্চা হয়ত নেই, কিন্তু আহ্লাদিত হওয়ার মত কিছুও নেই।
এই মাদ্রাসাগুলার পরিবেশ ভয়ংকর। মেয়ে ও ছেলেদের জন্য আলাদা শিক্ষানীতি। কওমির সিলেবাসে দেশের মুক্তিযুদ্ধের কোনো ইতিহাস নেই। নেই ইংরেজি শিক্ষা, অংক, বিজ্ঞান বা আধুনিক কোনো বিষয়। এমনকি যে আরবি শেখানো হয়, তার সাথেও নেই আধুনিক আরবি মিল। পড়ার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় উর্দু।
এখানে কাউকে হাতে-কলমে জঙ্গি হবার শিক্ষা দেওয়া হয় না, কিন্তু মানসিকভাবে পুরোপুরি জঙ্গি বানিয়ে দেয়া হয়। প্রায় প্রত্যেকটা কওমি মাদ্রাসায় শিশুনির্যাতন, যৌননিপীড়ন ও আর্থিক কেলেংকারি নিয়মিত ঘটনা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আর অপুষ্টিকর খাবারটাই সেখানে স্বাভাবিকতা। ওয়াজ, কোরবানি, নবান্ন ইত্যাদি সিজনে চাঁদা তোলার মাধ্যমে একেবারে বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেদের আত্মমর্যাদাহীন করে গড়ে তোলা হয়। 
সব কওমিতে চলে একদলীয় রাজনীতি। প্রিন্সিপাল যে-দল করে, মাদ্রাসায় কেবল ঐ দলের রাজনীতি চলবে। এর ফলে নষ্ট হয় ভিন্নমতাবলম্বী হবার ক্ষমতা।
কোনো শিক্ষামাধ্যম যে এতটা জঘন্য হতে পারে, তা আপনি কওমি মাদ্রাসা না দেখলে কল্পনাও করতে পারবেন না।
এই দুই ধরনের মাদ্রাসাই দেশের জন্য হুমকি। এগুলোর ব্যাপারে কঠিন হতেই হবে। এছাড়া উপায় নেই।
Category: ধর্মকারীTag: মিতকথন, রচনা
Previous Post:গরুপূজারি গাধাগুলো – ১৫৫
Next Post:হা-হা-হাদিস – ১৭৭

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পাল্লাহু । pAllahu • ফেসবুক • পেজ • টুইটার

Return to top