সেসময় প্রভু আমাকে বললেন, তুমি প্রথমগুলোর মত দু’খানা প্রস্তরফলক কেটে আমার কাছে পর্বতে উঠে এসো, এবং কাঠের একটি মঞ্জুষা তৈরি কর। যে প্রথম প্রস্তরগুলো তুমি ভেঙে দিলে, সেগুলোতে যে যে বাণী লেখা ছিল, তা আমি এই দুই প্রস্তরফলকে লিখব, পরে তুমি তা সেই মঞ্জুষাতে রাখবে। [দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১-২]
তাই আমি বাবলা কাঠের একটি মঞ্জুষা তৈরি করলাম, এবং প্রথমগুলোর মত দু’খানা প্রস্তরফলক কেটে সেই দু’খানা প্রস্তরফলক হাতে করে পর্বতে উঠলাম। প্রভু জনসমাবেশের দিনে পর্বতে আগুনের মধ্য থেকে যে দশ বাণী তোমাদের জন্য জারি করেছিলেন, তিনি ওই দু’খানা প্রস্তরফলকে আগে যা লিখেছিলেন, তা লিখলেন। পরে তা আমাকে দিলেন। আমি মুখ ফিরিয়ে পর্বত থেকে নেমে সেই দু’খানা প্রস্তরফলক আমার তৈরি করা সেই মঞ্জুষাতে রাখলাম, আর সেসময় থেকে তা সেইখানে রয়েছে— যেমন প্রভু আমাকে আজ্ঞা দিলেন। [দ্বিতীয় বিবরণ ১০:৩-৫]
প্রভু মোশীকে আরও বললেন, ‘তুমি এই সকল বাণী লিখে রাখ, কারণ আমি এই সকল বাণী অনুসারে তোমার ও ইস্রায়েলের সঙ্গে সন্ধি স্থাপন করেছি।’ সেসময়ে মোশী চল্লিশদিন চল্লিশরাত সেখানে প্রভুর সঙ্গে থাকলেন – রুটি খেলেন না, জল পান করলেন না। তিনি সেই দু’টো প্রস্তরে সন্ধির বাণীগুলো অর্থাৎ দশ বাণী লিখে রাখলেন। যখন মোশী পর্বত থেকে নেমে এলেন – তিনি পর্বত থেকে নেমে আসার সময়ে তাঁর হাতে সেই দু’টো সাক্ষ্যপ্রস্তর ছিল – তখন প্রভুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন বিধায় তাঁর মুখের চামড়া যে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল, এ বিষয়ে তিনি সচেতন ছিলেন না। [যাত্রাপুস্তক ৩৪:২৭-২৯]
যখন প্রভু সিনাই পর্বতে মোশীর সঙ্গে কথা বলা শেষ করলেন, তখন সাক্ষ্যের সেই দুই ফলক, পরমেশ্বরের আপন আঙুল দিয়ে লেখা সেই দুই প্রস্তরফলক, তাঁকে দিলেন। [যাত্রাপুস্তক ৩১:১৮]
তখন মোশী ফিরে পর্বত থেকে নেমে গেলেন, তাঁর হাতে ছিল সাক্ষ্যের সেই দুই প্রস্তরফলক; সেই ফলকের এপিঠে ওপিঠে, দু’পিঠেই লেখা ছিল। প্রস্তরফলক দু’টো পরমেশ্বরেরই নির্মাণকাজ, সেই লেখাও পরমেশ্বরেরই আপন লেখা – ফলকে খোদাই করে লেখা। [যাত্রাপুস্তক ৩২:১৫-১৬]
Leave a Reply