১.
সৌদিতে ধর্মীয় পুলিশ মানেই ব্যাপক ক্ষমতাবান। দেশকে বেশরিয়তী সমস্ত কাজকর্মমুক্ত রাখতে তারা নিরন্তর নিয়োজিত। ভুক্তভোগী মূলত প্রায় যাবতীয় অধিকারহীন নারীজাতি, যাদের অনুমতি নেই পুরুষ অভিভাবকের সঙ্গ ছাড়া প্রকাশ্যস্থানে অবস্থান করার। ধর্মীয় পুলিশ চাইলেই মেয়ে এবং তাকে সঙ্গদানকারী পুরুষের পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারে। তেমনি এক ঘটনার সময় এক মেয়ে অকস্মাৎ পুলিশকে আঘাতের পর আঘাত হেনে তাকে ব্যাপকভাবে আহত করে। ঘটনার পরে পুলিশকে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
২.
২০০২ সালে এক সৌদি স্কুলে আগুন লাগলে ১৫ জন স্কুলবালিকা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। আটকে পড়া ছাত্রীদেরকে উদ্ধারের জন্য ধর্মীয় পুলিশকে সেই সময় স্কুলে ঢুকতে দেয়া হয়নি এই আশঙ্কায় যে, বালিকারা আপাদমস্তক বস্ত্রাবৃত না-ও থাকতে পারে। শুধু তা-ই নয়, আত্মরক্ষার জন্যে মেয়েরা নিজেদের উদ্যোগে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে ধর্মীয় পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং ঠেলে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ভেতরে। কারণ, মেয়েদের মাথায় নেকাব ছিলো না। মানুষের তুচ্ছ জীবনের চেয়ে ধর্মীয় রীতিনীতির যথাযথ অনুশীলন যে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ! ঘেন্নায় তেতো হয়ে আসে মুখ!
অবশেষে, সেই ঘটনার আট বছর পরে, পুরুষ উদ্ধারকর্মীদের অনুমতি দেয়া হয়েছে জরুরি অবস্থার সময়ে মেয়েদের স্কুলে ঢোকার। Congrats to Saudi Arabia for going from “extremely fucking idiotic” to “close to extremely fucking idiotic” – মন্তব্য করেছে এক সাইট।
Leave a Reply