সাইবার আর্মীর সাইবার এটাকের ভেতরে কিছু ভারত প্রেমী জামাত শিবির খুঁজে বের করেছেন। তারা দাবী করেছেন জামাত শিবির যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ভারতের উপরে সাইবার এটাক করেছে। গোলাম আজম আর নিজামী জেলে বসে সাইবার আর্মীর সাইবার এটাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই সব আওয়ামী কাম ভারতের পা চাটা কুকুরের কথা শুনে হাসমু না কানমু বুঝতাছি না। আহারে তাদের সোনার ভারত!!!
বাঙলাদেশ ক্রিকেট টিম যখন ভারতের সাথে খেলে, অনেক ভারত প্রেমীর মুখে শুনি বাঙাদেশের ছেলেগুলা খেলা পারে না। ওদের সমর্থন দেয়ার দরকার কি? তার চাইতে ভারতের শচীন, ধোনী এরা অনেক ভাল খেলে। ওদের সমর্থন দেয়া দরকার!!!
বাঙলাদেশের তরুনরা যতটুকুই করুক, যেভাবেই হোক, দেশপ্রেম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেছে ভারতের সাইবার নেটওয়ার্কের উপরে। এখন আর পিছু হটার সুযোগ নাই। তারা ফেলানীদের হত্যার প্রতিশোধ যতটুকুই নিতে পারে, আমাদের ততটুকুই লাভ।
আমরা জানি আমরা ছোট দেশ, আমাদের সামর্থ্য কম। তার উপরে আমাদের দেশেই আছে কিছু ভারতের সেবক, যারা দেশেরটা খেয়ে দেশেরটা পরে ভারতের সেবায় নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধি উৎসর্গ করেছে। ভারত এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের সকল কর্মকান্ডকেই তারা জামাত শিবিরের কাজ আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের প্রচেষ্টা বলে ফতোয়া দিয়ে দেবে। তারা সরকারী ছত্রছায়ায় বসে দলবল নিয়ে একসাথে মিলে ভারতের সেবা করবে।
কিন্তু তারপরেও আমাদের শেষ সামর্থ্যটুকু দিয়ে লড়াই চালাতে হবে। যতক্ষণ সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ না হচ্ছে, আমাদের প্রতিরোধ প্রতিবাদ যুদ্ধ চলতেই থাকবে। ভারতের দালালরা ভারতে গিয়ে মরলেই পারে।
না, সাইবার এটাক করে যে আমরা বিশাল কিছু অর্জন করে ফেলবো তা নয়। তবে অবশ্যই ভারতের প্রশাসন এবং জনগনের একটু হলেও টনক নড়বে, তারা বুঝবে যে তাদের গুলি আর নগ্ন করে পিটা খেয়ে আমরা আওয়ামী নেতাদের মত হাসি মুখে তাদের দিকে তাকিয়ে নাই। আমরা সীমান্তে হত্যাকান্ডের অবসান চাই।
এইটুকুই আমাদের অর্জন। সাইবার আর্মীকে জানাই সংগ্রামী শুভেচ্ছা।
—আসিফ মহিউদ্দীন
Monday, February 13, 2012 at 1:42am
Leave a Reply