সেই দিনটির কথা স্মরণ কর, যেদিন তুমি হোরেবে তোমার পরমেশ্বর প্রভুর সাক্ষাতে দাঁড়িয়েছিলে; সেদিন প্রভু আমাকে বলেছিলেন: তুমি আমার কাছে জনগণকে একত্রে সমবেত কর, আমি আমার বাণীগুলো তাদের শোনাব, তারা পৃথিবীতে যতদিন জীবিত থাকে, ততদিন যেন আমাকে ভয় করতে শেখে ও তাদের সন্তানদেরও সেই বাণী শেখায়। [দ্বিতীয় বিবরণ ৪:১০]
গোটা জনগণ সেই বজ্রনাদ, বিদ্যুৎ-ঝলক, তুরিধ্বনি ও ধূমময় পর্বত দেখতে পাচ্ছিল। তা দেখে জনগণ সন্ত্রাসিত হয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকল। তারা মোশীকে বলল, ‘তুমিই বরং আমাদের সঙ্গে কথা বল, আমরা শুনব; কিন্তু পরমেশ্বর যেন আমাদের সঙ্গে কথা না বলেন, নইলে আমরা মারা পড়ব।’ মোশী তাদের বললেন, ভয় করো না, কারণ পরমেশ্বর তোমাদের যাচাই করতে এসেছেন, যেন তাঁর ভয় সবসময়ই তোমাদের সামনে থাকলে তা পাপ থেকে তোমাদের দূরে রাখে। [যাত্রাপুস্তক ২০:১৮-২০]
তারপর মূসার ক্রোধ প্রশমিত হলে সে ফলকগুলি উঠিয়ে নিল। যারা নিজেদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য ঐ সব ফলকে ছিল পথনির্দেশ ও রহমত। [সূরা আল আরাফ: ১৫৪ আয়াত]
প্রভু মোশীকে বললেন, ‘আগেকার মত দু’টো প্রস্তরফলক কেটে নাও; প্রথম যে ফলক দু’টো তুমি ভেঙে ফেলেছ, সেগুলোতে যা কিছু লেখা ছিল, সেই সকল কথা আমি এই দু’টো ফলকে লিখব। তুমি কাল সকালে প্রস্তুত হও: কাল সকালে সিনাই পর্বতে উঠে এসো, এবং সেখানে, পর্বতচূড়ায়, আমার জন্য অপেক্ষা করে থাক। কিন্তু তোমার সঙ্গে কেউই যেন উপরে না আসে, এই পর্বতের কোন জায়গায়ও কেউ যেন না থাকে, কোন গবাদি পশু বা মেষের পালও যেন এই পর্বতের সামনে না চরে।’ তাই মোশী দু’টো প্রস্তরফলক কেটে নিলেন যা প্রথম প্রস্তরগুলোর মত, এবং প্রভুর আজ্ঞামত সকালে উঠে সিনাই পর্বতের উপরে গেলেন, তাঁর হাতে ছিল সেই প্রস্তরফলক দু’টো। [যাত্রাপুস্তক ৩৪: ১-৪]
Leave a Reply