আজকে এক মুরিদ প্রশ্ন করিলো:
– হুজুর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত মানে কী? কীভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে?
আমি উত্তর দিলাম:
– খুবই সিম্পল জিনিস। কানাকে কানা, লুলাকে লুলা বললে অনুভূতিতে আঘাত লাগবেই।
মুরিদ প্রশ্ন করল:
– হুজুর, ইকটু খোলাসা করে বলেন।
আমি উত্তর দিলাম:
– একবার আমার সাথে, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি বিল গেটসের দেখা হইছিল। তাকে জিজ্ঞাস করেছিলাম, “ফক্কিন্নির বাচ্চা, কেমন আছো?” বিল গেটস হাসতে হাসতে আমাকে বলেছিল, “‘আরে মি. নীল নিমো কেমন আছেন? আসেন, একসাথে বসে বিয়ার খাই।” এর কিছুদিন পরে, বাংলাদেশের ফার্মগেটে এক ভিক্ষুককে দেখে, আমি জিজ্ঞাস করেছিলাম, “ফক্কিন্নির বাচ্চা, কেমন আছো?” ভিক্ষুক সাহেব লাঠি নিয়ে আমাকে পিটাইতে আসিয়াছিল। কয়েক মাস আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে দেখা হয়ে গেল। আমি তাকে বলেছি, “‘একটা মশা মারার ক্ষমতা তোর নাই, তোর লজ্জা হওয়া উচিত।” ওবামা হাসতে হাসতে আমাকে বলিল, “আরে মি. নীল নিমো সাহেব, কেমন আছেন? আপনার সাথে কথা বলে বেশ ভাল লাগছে।” গতরাতে, ঘুমের ভিতর স্বপ্নে, আল্লাহ ও তার নবীর সাথে দেখা হয়ে গেল। আমি তাদের বলেছি, “একটা মশা মারার ক্ষমতা তোদের নাই, তোদের লজ্জা হওয়া উচিত।” আল্লাহ ও তার নবী উত্তর দিল, “হালার পুত, তোরে কুপাইয়া কল্লা ফালাইয়া দিমু। তারপর দোজগের আগুনে অনন্তকাল দহন করবো। সুরা লাহাব পড়ে দেখছ নাই? আবু লাহাবের মত তোরেও টর্চার করমু।”
আমার উত্তর শুনে মুরিদ তব্দা খাইয়া বলিলো:
– তওবা, তওবা। হুজুর, এখন থেকে শিশুকামীকে শিশুকামী বলিবো না, ডাকাতকে ডাকাত বলিবো না।
আমি বলিলাম:
– মাসাল্লাহ, এই না হলে আমার মুরিদ!
Leave a Reply